রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শনে বেলজিয়ামের রানী মাথিন্ডে
দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এ সফর
পলাশ বড়ুয়া::
পাঁচ ঘন্টার সফরে কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বেলজিয়ামের রানী মাথিন্ডে ম্যারি ক্রিষ্টিন। সফরকালে তিনি জাতিসংঘের কার্যক্রমের পাশাপাশি নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্টির সাথে কথা বলেন। এছাড়াও বিভিন্ন দাতা সংস্থার পরিচালনাধীন সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪ পরিদর্শনে আসেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ক্যাম্প-৩, ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন, ক্যাম্প-৫ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি এনজিও সংস্থার পরিচালনাধীন হুলিচাইল্ড লার্ণিং সেন্টার, কমিউনিটি সেন্টার, ইকোপার্ক, উইমেন মার্কেট, গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল, বায়ুগ্যাস প্লান্টেশন পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি গাছের চারা রোপন করেন।
সফরকালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, বেলজিয়ামের রানীর এ সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের তত্বাবধানে রোহিঙ্গা জনগোষ্টিকে বাংলাদেশ যে সহায়তা করেছে তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো প্রসার লাভ করবে। যা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সম্মানের সাথে ফিরে যেতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে বেলজিয়ামের রানী মাথিন্ডে ম্যারি ক্রিষ্টিন এর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কক্সবাজার থেকে উখিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কি:মি: সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। নিরাপত্তার স্বার্থে রানী আসা-যাওয়া সময় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বেলজিয়ামের রানী’র রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসাকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে একইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে বেলজিয়ামের রানী মাথিন্ডে ম্যারি ক্রিষ্টিন বিশেষ বিমানে করে কক্সবাজার অবতরণ করেন। সেখান থেকে সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন।
সফরকালে তাঁর সাথে ছিলেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পাঠকের মতামত